ফ্রিল্যান্সিং এর হাতেখড়ি

Photo: pexels.com

ফ্রিল্যান্সিং কি

মূলত কোনো ক্লায়েন্ট বা কোম্পানির কাজ কন্ট্রাক্টের ভিত্তিতে অনলাইনে করাকেই বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট পর্যন্ত প্রায় যেকোনো বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। আর যারা এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিয়োজিত, তাদের ই ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সারদের স্বাধীন কন্ট্রাক্টর বা সেল্ফ-এমপ্লয়েড ওয়ার্কার নামেও ডাকা হয়।

অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করা খুব সহজ। কিন্তু এজন্য আপনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে। মার্কেটে যেসব স্কিল এর চাহিদা রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে আয়ত্ব করতে পারলে আপনি সত্যি সত্যি ফ্রিল্যান্সিং করে সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ফ্রিল্যান্সিং শেখার বা শুরু করার আগে অবশ্যই এর ভালো ও মন্দ, দুই দিক সম্পর্কেই ধারণা অর্জন করা একান্ত জরুরি। 

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রধান সুবিধাসমুহঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার নিজেই নিজের বস। একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই নিজের কাজের সময়, রেট, ইত্যাদি ঠিক করার ক্ষমতা রাখেন। এছাড়াও একজন ফ্রিল্যান্সার তার ইচ্ছানুযায়ী ক্লায়েন্ট গ্রহণ বা বর্জন করার ক্ষমতা রাখেন। 
  • ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যেহেতু ইনভেস্ট বলতে শুধু সময়কেই কাজে লাগাতে হচ্ছে, সেক্ষেত্রে লাভ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
  • ফ্রিল্যান্সিং করে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও তা তুলনামূলক কম। ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সার হলে আপনার নিজের সময় অনুসারে নিজেই কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কাজ ও জীবনের অন্যান্য কাজের ব্যালেন্স বজায় রেখে চলা চিরাচরিত কাজের চেয়ে অনেকটাই সহজ। 
  • চাকরির মত নির্দিষ্ট সময় ও স্থানের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয় না বলে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বরাবরই বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাসমূহঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং এর উল্লেখযোগ্য কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমনঃ যেহেতু আপনি নিজেই নিজের বস, সেক্ষেত্রে কাজ নেওয়া থেকে শুরু করে সেটি ক্লায়েন্টের হাতে বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি একই সাথে চলতে থাকা অন্যান্য কাজের হিসাবও আপনাকেই রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনি নিজেই নিজের কর্মচারী, আবার নিজেই নিজের বস। 

  • ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ এর মাধ্যমেই টাকা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কাজ না করলে আপনার উপার্জনও বন্ধ। 
  • চাকরির ক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনে ছুটি নেওয়া সুবিধা থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনার কাজ আপনাকেই যেহেতু করতে হয়, সেক্ষেত্রে অবসরের সময়গুলোও কাজের মাধ্যমে আপনার ঠিকই পুষিয়ে দেওয়া লাগবে। 
  • ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কাজ পাওয়া কিংবা সময়মত পেমেন্ট, এই দুইটি বিষয়ই যথেষ্ট নড়বড়ে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। তাই ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সার হলে সেক্ষেত্রে আপনার আর্থিক অবস্থাতে স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সমস্যা হওয়ার কথা অদ্ভুত কিছু নয়।