ভেবে দেখেছেন? 🙂 কোটা সংস্কারের আবেদন ছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের “রাজাকার” ট্যাগ লাগিয়ে উষ্কে দিলেন। অতঃপর এক-এ-এক এ শিক্ষামন্ত্রী সহ আওয়ামিলীগ এর প্রায় উচ্চপদস্থ সকল শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কথায় সাঁই দিলেন! ঠিক এরপরই ১৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ছাত্রলীগ কর্মী, ভাড়াটে টোকাই, ক্যম্পাসের ক্ষমতালোভী সহপাঠীরা। ছাত্রলীগে যোগদানকৃত অনেকে নিজের বন্ধুবান্ধবদের নিজ হাতে রড, বাঁশ, দেশীয় অস্ত্র হাতে ধাওয়া ও মার"ধর করলো! আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগেও ২০১৮ সালে ❝ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ❞ একইভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় সরকারের এই গুণ্ডা বাহিনী।
সড়ক দুর্ঘটনায় যেমন ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে, ঠিক এই কোটা সিস্টেমের যাতা কলে একদিন তাদের সন্তানসন্ততি পিষ্ট হবে। মনে রাখবেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ইতিমধ্যে এই সরকার ও ভুয়া ‘ছাত্র’ ট্যাগ প্রাপ্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর উপর জনগণ ও ছাত্রসমাজের ক্ষোভ তুঙ্গে যা মোকাবিলা করা ও অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি সামলাতে খুব ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আহ্বান অতিসত্বর “আওয়ামিলীগ কোটা” বাস্তবায়নে চিন্তাভাবনা করুন আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। কেননা সকল আওয়ামিলীগ কর্মী বা ছাত্রলীগ তো আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতিপুতি না!
যদিও দেশে এখন প্রায় ৫০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে! আপনারা বরং একটা মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়ে গেলে অবশ্য আরেকটা জেনারেশন এর পর জেনারেশন ফের সুযোগ সুবিধা পেতে থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত! তবে আটকে যাবে আখিরাতে বান্দার হক হননের কারণে। মাঝে জীবন নষ্ট হবে ছাত্রলীগে কর্মরত নিম্নশ্রেণীর সহযোগীদের যারা নিজেদের জীবন যৌবন শেষ করেছে এই নোংরা রাজনীতির উপার্জনে।
signing off!! ☠️🇧🇩